Image description

যশোরে হারুন অর রশিদ হারুন খান নামে এক বিএনপি নেতাকে মারধরের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে স্থানীয়রা। তাদের দাবি, এক প্রবাসীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরা হয়েছে ওই নেতাকে। তবে হারুন অর রশিদ হারুন খানের দাবি, পাওয়া টাকা আনতে যাওয়ায় ফাঁসানো হয়েছে তাকে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার শাখারীগাতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আটক হারুন খান শাখারীগাতি গ্রামের পূর্বপাড়ার মৃত ইসহাক খানের ছেলে। তিনি নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক এবং শাখারীগাতি এমএল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও শাখারীগাতী এমএল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য হারুন খান ৩১ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে একই গ্রামের উত্তরপাড়ার এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করেন। সন্দেহ হলে কিছুক্ষণ পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। মুহূর্তেই খবরটি ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে। উত্তেজিত জনতা তাকে ধরে গণধোলাই দেয়।

খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় হারুন-অর-রশিদকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। রাতেই তাকে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করে পুলিশ।

তবে আটক হারুন খান দাবি করেছেন, পাওনা টাকা আনতে গেলে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।